#new_hadis_bangla #সুন্নাতের_বর্ণনা #বাংলা_হাদিস #হাদিস
সুন্নাতের বর্ণনা
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) যে সকল কাজ নিজে করেছেন
এবং যা তিনি উম্মতকে করতে বলেছেন এবং তাঁর অনুমোদনে সাহাবায়ে কেরামগণ করেছেন
এসব কাজকে সুন্নাত বলে।
সুন্নাত দু'প্রকার। যথা- ১. সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং ২. সুন্নাতে যায়েদাহ।
যে সকল কাজ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরামগণ সর্বদা করেছেন
, কখনো ছেড়ে দেন নি, এ জাতীয় কাজগুলোই সুন্নাতে মুয়াক্কাদহ (অবশ্য করণীয় সুন্নত)
। বিনা ওজরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরককারী ওয়াজিব তরকের ন্যায় ফাসিক এবং গুনাহগার হয়
ইহার অস্বীকারকারী কাফির হয় না, ওয়াজিব অস্বীকারকারীর মত ফাসিক হয়।
S সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তরক এবং অস্বীকারকারী কিয়ামতের দিন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর শাফায়াত লাভ করবে না।
ওয়াজিব এবং সুন্নাতে পার্থক্য এই যে, সুন্নাত তরককারীর গুনাহ্ ওয়াজিব তরককারীর গুনাহ থেকে কিছুটা হালকা। আযান, ইকামত, জোহরের নামাযের প্রথম চার রাকাত এবং শেষ দু'রাকাত নামায এবং মাগরিবের দু'রাকাত নামায ও ফজরের প্রথম দু'রাকাত ইত্যাদি কাজগুলো সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
যে সকল কাজসমুহ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম প্রায় সবসময় করলেও মাঝে মধ্যে তরফ করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর উম্মতগনের প্রতি তেমন কোন কঠিন ভাবে আদেশূ করে দেননি
সে সকল কাজসমুহকে সুন্নতে গাইরি মুয়াক্কাদাহ তথা আবশ্যক করনিয় সুন্নত নয়
এ জাতিয় সুন্নত পালন করলে অনেক নেকি লাভ করা য়ায কিন্তু কারনে অকানে তরফ করলে গুনাহগার হবে না